পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রণোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি খাতে উন্নয়ন হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিগত তিন মেয়াদে কৃষির সব ক্ষেত্রেই উৎপাদন বেড়েছে। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো পুষ্টি জাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দেওয়া। পুষ্টিসম্মত খাবারের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যেই এ খাতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।’
এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয়, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আছাবুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মাঝে প্রণোদনা পৌঁছে দিতে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত এলএসপি ও এলএফএ সদস্যরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। এছাড়াও ডিএলও স্যার এবং ইউএলও স্যাররাও অনেক শ্রম দিয়েছেন। পিডি স্যার, ডিপিডি স্যার সবসময় সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আজ যখন প্রণোদনার টাকা মানুষের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে তখন সবচেয়ে বেশি আনন্দিত আমরা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তারাই। আমরা সততার সাথে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি আর প্রাপ্তি শুধু খামারিদের মুখের হাসি আর তাদের কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আপনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে এবং বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি বিরাজ থাকবে।’
উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন’ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্প দুটির আওতায় উল্লিখিত প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের ৪৬৬টি উপজেলা থেকে যাচাইকৃত প্রাণিসম্পদ খাতের ৪ লাখ ৭ হাজার ৪০২ জন খামারিকে (ডেইরি, লেয়ার মুরগি, পোল্ট্রি মুরগি, সোনালী মুরগি, ব্রয়লার মুরগি ও হাঁস খামারি) ১৫টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন হারে ৪৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ৭৫টি উপজেলা হতে যাচাইকৃত মৎস্য খাতের ৭৮ হাজার ৭৪ জন খামারিকে (মৎস্য চাষি, চিংড়ি চাষি ও কাঁকড়া/কুঁচিয়া সংগ্রাহক) ৭টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন হারে ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।