কাউসার আলম/ চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ফুটবল মানেই সমর্থকদের মাঝে এক বাড়তি উত্তেজনা। সেটা বাংলাদেশের দর্শকদের ক্ষেত্রে হলে তো কথাই নেই। কালের বিবর্তনে ফুটবলের সেই আগের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। তবুও ফুটবল খেলা হলেও এখনও দর্শকদের মাঝে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করে। সেটা হোক মাঠে বসে নিজের প্রিয় দলকে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে কিংবা প্রতিপক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল খুব বেশি উন্নতি না হলেও মাঠে বসে খেলা দেখতে দেখা যায় ফুটবল সমর্থকদের। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামেও ভিন্নতা ছিল না। এদিন বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এই ম্যাচে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি বসুন্ধরার ফরোয়ার্ডরা। তবে বসুন্ধরার মিসের আক্ষেপ মিটিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে ইব্রাহিমের কাটব্যাক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এই মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় এক গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
করোনার মাঝেও এদিন স্টেডিয়ামে ছিল দর্শকদের উপচে পরা ভিড়। নিজের প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে মাঠে এসেছিলেন অসংখ্য দর্শক। তবে অন্য সবার চেয়ে একটু আলাদাভাবে নজর কেড়েছিলেন বসুন্ধরার চাঁদপুর জোনের সমর্থকরা। প্রায় শতাধিক সমর্থক নিয়ে মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন তাঁরা।
বসুন্ধরা কিংস ফ্যানস চাঁদপুর জোনের প্রধান সমন্বয়ক সাইফুল চৌধুরীর নেতৃত্বে খেলা দেখতে এসেছিলেন এসব কিংস সমর্থকরা। প্রিয় দলের জয় দেখতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত বলে জানিয়েন বেশ কয়েকজন সমর্থক। কিংসকে সমর্থন দেয়ার মধ্য দিয়ে চাঁদপুরের ফুটবল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চান তারা। ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ ২৪ এর সঙ্গে আলাপকালে গ্রুপটির প্রধান সমন্বয়ক সাইফুল চৌধুরী জানান, তাঁরা এভাবেই ফুটবলকে সমর্থন দিতে চান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সবসময়ই ফুটবলের জনপ্রিয়তা ছিল। এখনও যে নেই সেটা বলছি না। আমাদের চাঁদপুরের ফুটবলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও কালের বিবর্তনে সেটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমরা মাঠে খেলা দেখতে আসার মাধ্যমে সবাইকে ফুটবলে আগ্রহী করে তুলতে চাই। সেই সঙ্গে আমাদের ঐহিত্যের খেলাকে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা সবসময়ই এভাবে বসুন্ধরা কিংস এবং বাংলাদেশকে সাপোর্ট করব।’