ঢাকা মহানগর উত্তর প্রতিনিধিঃ- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। সৃজনশীল অর্থনীতির বিকাশে বঙ্গবন্ধু উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ।
আজ রাজধানীর লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ‘‘সুরের ধারা’’ আয়োজিত পৌষ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এখন আর দারিদ্র্য পীড়িত দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন একটি অগ্রসরমান ও সম্ভাবনাময় অর্থনীতি। It is a Land of Opportunities. আমরা বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি Lucrative Destination- এ বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে চাই। এক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি চাই আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বের সকল প্রান্তে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এধরনের আয়োজনের মাধ্যমে বর্হিবিশ্বে আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি তুলে ধরা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন। বাঙালি জাতি সবসময় উৎসবমুখর। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রূপ প্রকাশ পায় বিভিন্ন মেলা ও উৎসবের মাধ্যমে। উৎসব এদেশের মানুষের ঐক্য ও মিলনের প্রতীক যা ভ্রাতৃত্ববোধ ও সামাজিক বন্ধনকে অত্যন্ত দৃঢ় করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পৌষ মেলার এ আয়োজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সৃজনশীল অর্থনীতি বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে । পাশাপাশি তাদের তৈরি তাঁতবস্ত্র, হস্তশিল্পসহ দেশীয় উৎপাদিত বিভিন্ন অপ্রচলিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সারা বিশ্বে তুলে ধরার সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদেশে বাংলাদেশের ৭৮টি দূতাবাসের মধ্যে ৬৯টি দূতাবাসে ‘‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব কর্নারে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ ও কর্মকাণ্ড বহির্বিশ্বে তুলে ধরা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ড.মোমেন।